কামরুল হাসান রাকিশ »
সময়টা ছিল ২০১৭ সালের আজকের এই দিন ৯ই জুন। এই দিনে আরও একটি জয় বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করে। এর আগে ২০০৫ সালে তখনকার বিশ্বসেরা এবং সর্বকালের অন্যতম সেরা দল অস্ট্রেলিয়াকে এই কার্ডিফেই হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। সেই ম্যাচ ইতিহাসের অংশ হয়ে রয়েছে এখনো। এরপর ২০১৭ সালে পরাক্রমশালী নিউজিল্যান্ডকে এই কার্ডিফেই হারিয়ে বাংলাদেশ উঠেছিলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে।
কার্ডিফ মানেই তাই বাংলাদেশের সুখস্মৃতি। সাকিব- রিয়াদের রেকর্ড জুটিতে কার্ডিফে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। সাকিবের ১১৪ ও রিয়াদের অপরাজিত ১০২ রানের উপর ভর করে নিউজিল্যান্ডের ছুঁড়ে দেয়া ২৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে ৫ উইকেট ও ১৬ বল হাতে রেখে।
অবিস্মরণীয় এই জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শেষ চারে পা রাখার সম্ভাবনাটাও বাঁচিয়ে রেখেছিলো টাইগাররা।
৩৩ রানের মধ্যে প্রথম চার ব্যাটসম্যান ফিরে যায় সাজঘরে। শুরুতেই এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে অন্ধকার নেমে এসেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। নিউজিল্যান্ড হয়তো ধরেই নিয়েছিল, জয়ের বন্দরে ভিড়ে গেছে তারা। কিন্তু ক্রিকেট যে গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা, একথা বোধহয় ভুলে গিয়েছিল কিউইরা। শুরু হয় সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর লড়াই। ২৬৬ করতে নামা বাংলাদেশকে ধাক্কাটা দিয়েছিলেন টিম সাউদি। সেই ধাক্কা বেশ ভালোভাবেই সামলে পাল্টা জবাব দিল বাংলাদেশ মাহমুদউল্লাহ ও সাকিবের ব্যাটে। এ দু’জনের রেকর্ড ২২৪ রানের জুটিতে বাংলাদেশ পাঁচ উইকেটে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেয়।
বাংলাদেশ জন্ম দিল আরেক রূপকথার। ম্যাচসেরা সাকিব সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফিরে গেলেও মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ১০২ রানে। ১০৭ বলের ইনিংসে আটটি চার ও দুটি ছয় হাঁকান তিনি। জয়সূচক বাউন্ডারি দিয়ে ম্যাচ শেষ করা মোসাদ্দেক চার বলে সাত রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশ দলের কাছে কার্ডিফ মানেই সুখস্মৃতি।