দুর্জয় দাশ গুপ্ত »
আজকের দিনটা ইশ সোধি নিশ্চয়ই মনে রাখবেন অনেকদিন। তিনি ব্যাটার নন, তবুও শেষের দিকে ব্যাট করতে নেমে দলের প্রয়োজনে খেললেন ৩৫ রানের ক্যামিও। এই ইনিংসে ছিলো তিনটা বিশাল ছক্কা। তার ব্যাটে ভর করেই ২৫৪ রানের লড়াইয়ের পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড।
এসব তো গেল কিউইদের ব্যাটিংয়ের গল্প। এবার আসা যাক বোলিংয়ে। পুরো বাংলাদেশের ইনিংসটা একা হাতে দুমড়ে মুচড়ে ফেলেছেন ইশ সোধি। একে একে নিয়েছেন ৬ জন বাংলাদেশি ব্যাটারের উইকেট। নিজের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ের দিনে করলেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিংটাও। বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে এমন একটা দিন ইশ সোধির আত্মবিশ্বাস আরো অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। আরো একবার ব্যর্থ হয়েছেন টাইগারদের ভারপ্রাপ্ত কাপ্তান লিটন দাস। ১৬ বল খেলে তার সংগ্রহ কেবল ৬। ২য় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা চালান সিনিয়র আর জুনিয়র তামিম। অবসর ইস্যু, ইনজুরি সব পেছনে ফেলে আবার নতুন উদ্যমে ব্যাট করতে নামেন তামিম ইকবাল। তাঁর হাঁকানো একের পর এক বাউন্ডারি মিরপুরের গ্যালারীতে থাকা দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেছেন। কিন্তু বেশি দূর সিনিয়র তামিমের পথের সাথী হতে পারেননি ছোট তামিম। ১৪ রান করে তিনিও ফেরেন প্যাভিলিয়নে। ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নামা সৌম্য সরকার আবারো ব্যর্থ। নির্বাচকরা নিশ্চয়ই সৌম্যের এমন ব্যাটিংয়ে নিজেরাই লজ্জা পাবেন। শূন্য রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ব্যর্থ হয়েছেন তাওহিদ হৃদয়ও।
৬ নম্বরে ব্যাট করতে নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্রত্যাবর্তনটা হয়েছিলো স্বপ্নের মত। চাপে পড়া দলটাকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তামিম তাকে বেশি সঙ্গ দিতে পারেননি। ৪৪ রান করে আউট হোন তামিম। তামিমের বিদায়ের পরে মাহেদীকে নিয়ে ভালোই আগাচ্ছিলেন রিয়াদ। কিন্তু সোধির বলে পরাস্ত হয়ে রিয়াদকে রেখেই চলে যান মাহেদী। ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিল দেখে রিয়াদ হয়তো নিজেও বুঝতে পারছিলেন না কি করবেন! না হলে তিনিও কেনই বা ৪৯ রান করে আউট হবেন।
বাংলাদেশের রান ১৬৮ রানে গিয়ে থামে। অলআউট হয় লিটন দাসের দল। ফলে ৮৬ রানের বড় জয় পায় নিউজিল্যান্ড। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এখন এগিয়ে লুকি ফার্গুসনের দল।