নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
নাজমুল হোসেন! জাতীয় দলের সাবেক পেসার। একটা সময় টাইগারদের পেস ইউনিটের সম্ভাবনাময় একজন ছিলেন। যদিও দুর্ভাগ্য,বাস্তবতা ও ইনজুরির কারনে ক্যারিয়ার খুব বেশি লম্বা করার সুযোগ হয়নি এই সম্ভাবনাময় পেসারের। জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ২ টেস্ট ও ৩৮ ওয়ানডে মিলিয়ে মোট ৪০ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ২ টেস্টে ৫ উইকেট এবং ৩৮ ওয়ানডেতে নিজের ঝুলিতে উইকেট নিয়েছেন ৪৪ টি।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৪০ ম্যাচে ৪৯ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সমাপ্তি করেছেন সাবেক এই পেসার। ২০১২ সালের পর থেকে জাতীয় দলের জার্সিতে খেলা না হলেও নতুন স্বপ্ন নিয়ে বছর খানেক আগে সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে কোচিং পেশায় যুক্ত হয়ে আবারো ক্রিকেটের সঙ্গে নতুনভাবে কাজ শুরু করেছেন এই পেসার।
নিউজক্রিকেট টুয়েন্টিফোরের নিয়মিত লাইভ আড্ডায় আজ অতিথি হয়ে এসে নিজের ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন সাবেক এই পেসার।
টানা ৮ বছর জাতীয় দলে খেলার পর ২০১২ সালের পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে! ক্যারিয়ার প্রত্যাশা অনুযায়ী লম্বা না হওয়ার কারন কি?
কোন আক্ষেপ বা ক্ষোভ আছে কি এর পিছনে?
নিউজ ক্রিকেট টুয়েন্টিফোরকে এই ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়ে নাজমুল হোসেন জানান: ক্যারিয়ার লম্বা করতে না পারার পিছনে আমি আমার ভাগ্য ও বাস্তবতাকে মেনে নিয়েছি।আমি টানা ৮ বছর খেলার পর ২০১২ সালে বাদ পড়ি। এরপর ইনজুরির কারনে ওইভাবে নিজেকে মিলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছি, আর ওই সময়টায় অন্যরা নিজেদের প্রমাণ করে জাতীয় দলে সুযোগ করে নিয়েছিল।প্রতিদ্বন্দ্বীতার একটা ব্যাপার যখন চলে এসছিল তখন আমি ইনজুরি ও নিজের দুর্ভাগ্যের কারনে নিজেকে ওইভাবে প্রমাণ করতে হয়তো ব্যর্থ হয়েছি।তাই এই জায়গাটা নিয়ে আমি বাস্তবতা ও নিজের ভাগ্যকে মেনে নিয়েছি।
ক্রিকেট ক্যারিয়ারের প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি গুলো নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন:
ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অপ্রাপ্তির চেয়ে প্রাপ্তি অনেক বেশি।আমি ৮ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ৪০ টি ম্যাচ খেলেছি দেশের হয়ে এটাও বড় অর্জন। আমি আমার ক্যারিয়ারে অনেক লিজেন্ডদের সাথে খেলেছি, যেমন শচিন টেন্ডুলকার,ব্রায়ান লারা,রিকি পন্টিং,এডাম গিলক্রিস্ট,কুমারা সাঙ্গাকারা,সানাথ জয়সুরিয়া।
এরা সবাই গ্রেট ছিল তখনকার সময়ে।
আমি এদের বিপক্ষে খেলেছি, উইকেট নিয়েছি এদের, এগুলো নিঃসন্দেহে অনেক বড় প্রাপ্তি আমার জন্য।আমি শচিন টেন্ডুলকারের উইকেট নিয়েছি ২ বার। এটাও বড় প্রাপ্তি।এছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা, মাশরাফি,সাকিব,তামিম,মুশফিক,মাহমুদুল্লাহ এদের সাথেও খেলেছি।সবমিলিয়ে আলাহামদুলিল্লাহ প্রাপ্তি অনেক। আর যে অপ্রাপ্তি গুলো আছে সেগুলো গুছিয়ে নেওয়ার জন্য কোচিং পেশায় এসেছি।
খেলোয়াড় হিসেবে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে আবার সেই ক্রিকেটে ফিরেছেন ভিন্ন ভূমিকায়! কোচিং নিয়ে পরিকল্পনা কি?
এই ব্যাপারে নিউজক্রিকেট টুয়েন্টিফোরকে নাজমুল হোসেন জানান: ক্রিকেটের সঙ্গে সবসময় থাকতে চেয়েছি এবং এখনো চাই। যেহেতু ক্রিকেটার হয়ে সেটা বেশি লম্বা করতে পারিনি, তাই ওই অপ্রাপ্তি গুলোকে পূরন করতে কোচিংয়ের মাধ্যমে আবারো ক্রিকেটে ফিরেছি। আমার লক্ষ্য একজন কোচ হয়ে নিজেকে প্রমাণ করে দেশের ক্রিকেটকে আরো কিছু দিবো।
খেলোয়াড়ী জীবনে যেগুলো দিতে পারিনি, কোচিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কিছু দিতে চাই, আর একটা সময় পর নিজেকে একজন ভাল কোচ হিসেবে প্রমাণ করে জাতীয় দলের সাথেও কাজ করতে চাই।
নিউজক্রিকেট টুয়েন্টিফোর/ ইফতি মারুফ