শোয়েব আক্তার »
২০১৬ অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে মিরাজদের হাত ধরে শিরোপা খরা ঘুচানোর স্বপ্ন অনেকেই দেখেছিলেন। বিশেষ করে বিশ্বকাপ ঘরের মাঠে হওয়ায় প্রত্যাশার মাত্রাটা একটু বেশি ই ছিল। তবে, সেমি-ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় টাইগার যুবাদের। সেবার তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিল বাংলাদেশ এবং সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
নেনসল ম্যান্ডেলার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ১৩তম আসরো সেমি ফাইনাল বাঁধা টপকে ফাইনালে উঠেছে জুনিয়র টাইগার’রা। প্রথমবারের মতো বিশ্বজয়ের স্বপ্নে বিভোর গোটা বাংলাদেশ। সেই ঘোর ছোঁয়ে গেছে এই আসরের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে যুব বিশ্বকাপের সেরা অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ কে। আনন্দবাজার কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুবাদের শেষ পযর্ন্ত লড়ে যাওয়ার আহব্বান জানিয়েছেন তিনি। মিরাজ বলেন, ‘আকবর, মাহমুদুল হাসান জয়দের একটাই কথা বলব। আমরা যে কাজটা করে আসতে পারিনি, তোমরা সেটা করে দেখাও। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে যাও। আমরা সবাই তোমাদের দিকে তাকিয়ে।’
ভারতের প্রভাবশালী এ দৈনিক এর সাথে কথা বলতে গিয়ে ২০১৬ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে অনাকাঙ্খিত হারে বিষয় তুলে আনেন তিনি। ‘সেমিফাইনালে হেরে যাওয়ায় খুব আঘাত পেয়েছিলাম। ওই কষ্টটা কাটিয়ে উঠতে অনেক দিন লেগেছিল আমার। অভিজ্ঞতা থেকে জয়দের বলছি, দারুণ সুযোগ তোমাদের সামনে। জানপ্রাণ লাগিয়ে দাও মাঠে।’
একজন ক্রিকেটারের জন্য যুব বিশ্বকাপের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে মেহেদি মিরাজ বলছিলেন, ‘যুব বিশ্বকাপ এমন একটা টুর্নামেন্ট, যেখানে ভাল পারফরম্যান্স করলে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ এসে যায়। আমার ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছিল।’
ফাইনালে জয় নিশ্চিত করতে জুনিয়র টাইগারদের টোটকা ও বলে দেন তিনি। ‘শুধু এক বা দু’জনের উপরে ভরসা করে কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনাল জেতা সম্ভব নয়। এই ভারত খুবই শক্তিশালী দল। টিম গেমের উপরে ভরসা করে যেমন খেলে এসেছে, সেই খেলাই খেলতে হবে ফাইনালে।’
রবিবারের ফাইনালে বাংলাদেশের কৌশল কেমন হওয়া উচিত আনন্দবাজারের এমন প্রশ্নে মেহেদি বলেন, ‘অন্তত একজন পেসারকে জ্বলে উঠতেই হবে। স্পিনার দিয়ে রান আটকে রাখতে হবে। আর ব্যাট করার সময়ে মিডল অর্ডারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে।’