নিউজ ডেস্ক »
আইসিসির বর্তমান সভাপতি শাশঙ্ক মনেহরের চুক্তির মেয়াদ প্রায় শেষ। চলতি মাসেই মেয়াদ শেষ হবে আইসিসির এই সভাপতির। ইতিমধ্যেই নতুন সভাপতির খোঁজে আইসিসি। তালিকায় আছে বেশ কয়েকটি নাম। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সাথে আছেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি, এমসিসি কমিটির সভাপতি কুমার সাঙ্গাকারা এবং পিসিবি সভাপতি এহসান মানি। তবে অভিজ্ঞতায় এগিয়ে আছেন পিসিবি সভাপতিই। সেক্ষেত্রে আবারও আইসিসির প্রধানের চেয়ারে বসতে চলেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সভাপতি এহসান মানি।
চলতি মাসেই চূড়ান্ত হবে পরবর্তী আইসিসির সভাপতি নাম। তবে এই তালিকায় অভিজ্ঞতায় এগিয়ে আছেন পিসিবি সভাপতিই। একমাত্র এহসান মানিই ইতিপূর্বে আইসিসির সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আইসিসির সভাপতিত্ব করার অভিজ্ঞতা আছে তার। এছাড়াও প্রায় বেশ কয়েকবছর সফলভাবে পিসিবি প্রধানের পদটি সামলেছেন। বন্ধ হওয়া পাকিস্তানে ফিরিয়েছেন ক্রিকেট। তাই অভিজ্ঞতা এবং সফলতার বিচারে সবার উপরে থাকবেন এই পিসিবি প্রধান।
তবে সমস্যা আছে এখানেও। ভারতের সাথে দ্বন্দ্বের জেরে হয়তো ভারতের সাপোর্ট কখনই পাবেননা তিনি। এদিকে সৌরভ গাঙ্গুলি যেভাবে বর্তমান বিসিসিআই এর সাথে সকলের সম্পর্ক জোরদার করছেন সেক্ষেত্রে পিসিবির সভাপতি হতে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হতে পারে তাকে। এদিকে অভিজ্ঞতায় এহসান মানির পরেই এগিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। অভিজ্ঞতায় সাঙ্গাকারা কিংবা সৌরভ গাঙ্গুলির থেকে ঢেড় এগিয়ে পাপন। গত ৮ বছর ধরেই সামলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। দেশের ক্রিকেটের বড় বড় সাফল্য সবই এই সময়ে আনা। ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল বড় অর্জনগুলো এসেছে তার সময়েই। আর বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পটু এই বিসিবি সভাপতি। আর দীর্ঘ এই সময়ে বেশ সুসম্পর্ক ছিলো প্রতিটি ক্রিকেট বোর্ডের সাথেই। ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের মাঝে দু’দেশের সাথেই বেশ খাতির বিসিবির। সেক্ষেত্রে তাদের থেকে একতরফা সাপোর্ট আসতে পারে নাজমুল হাসান পাপনের দিকেই।
যদি সমীকরণ ঠিকভাবে চলে তাহলে আবারও দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে আইসিসি প্রধানের চেয়ারে বসবেন তিনি। এ আগে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সভাপতি ছিলেন বর্তমান বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। ২০১৫-বিশ্বকাপে দ্বন্দ্বের জেরে সেবার পদত্যাগ করেছিলেন তিনি।
নিউজ ক্রিকেট ২৪ / কেএমএএইচ